Duration 7:12

১৭ শ্রেণীর লোক মুসলমান হয়েও জান্নাতে যেতে পারবে না

86 watched
0
29
Published 17 Nov 2023

১৭ শ্রেণীর লোক মুসলমান হয়েও জান্নাতে যেতে পারবে না ! মুসলিম হয়েও যারা জান্নাতে যেতে পারবে না 17 শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না 17 শ্রেণীর লোক মুসলমান হয়েও যারা জান্নাতে যেতে পারবে না যে ১৭ শ্রেনীর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না! ১। হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা লালিত-পালিত হয়েছে, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (মিশকাত ২৭৭২) ২। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত যুবাইর ইবনে মুতইম (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (বুখারী, ৫৯৮৪) ৩। প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরা নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” ( মুসলিম,৭৬) ৪। মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, দাইউস ও পুরুষের বেশ ধারণকারীণী জান্নাতে যাবে নাঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে যাবে না : মাতা-পিতার অবাধ্য, দাইউস (অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-বোন প্রমুখ অধীনস্থ নারীদের বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেয় না) এবং এতো পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলা।” (নাসায়ী ২৫৬২) ৫। অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী জান্নাতে যাবে নাঃ হারেছা বিন ওহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, “অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না।” (দাউদ, হাদীস নং ৪১৬৮) ৬। অধীনস্থদেরকে ধোঁকাদানকারী শাসক জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত মা‘কাল বিন ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বলতে শুনেছি, “মুসলমানদের উপর প্রতিনিধিত্বকারী শাসক যদি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে তার অধীনস্থদেরকে ধোঁকা দিয়েছে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।” (বুখারী, হাদীস নং ৬৬১৮) ৭। অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কসম করে কোন মুসলমানের সম্পদ আত্মসাৎ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব করে দেন এবং জান্নাত হারাম করেন। এক ব্যক্তি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদিও সামান্য কোন জিনিস হয়? তিনি বললেন, যদিও পিলু গাছের একটি ছোট ডাল হোক না কেন।” (মুসলিম, হাদীস নং ১৯৬) ৮। খোটাদানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপ জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, “উপকার করে খোটা দানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, সর্বদা মদপানকারী--এই তিনশ্রেণীর মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (নাসায়ী, ৫৬৭২) ৯। চোগলখোর জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম ১৯১) ১০। অন্য পিতাকে যে নিজের পিতা বলে পরিচয় দেয় সে জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত সা‘দ ও আবু বাকরাহ (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজেকে অন্য পিতার সাথে সম্পর্কিত করে অর্থাৎ নিজেকে অন্য পিতার সন্তান বলে পরিচয় দেয়, তার জন্য জান্নাত হারাম।” (মুসলিম ১২২/১২৩) বুখারী ৬৭৬৬) ১১। গর্বকারী-অহংকারকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যার অন্তরে অনু পরিমাণ অহংকার রয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম, ১৬৭) ১২। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “আমার সব উম্মত জান্নাতে যাবে, কিন্তু সে ব্যক্তি ব্যতীত যে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে। সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কে অস্বীকার করেছে? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানী করে, সে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করেছে।” ( বুখারী, হাদীস নং ৬৭৩৭) ১৩। দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ইলম দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয় সেই ইল্মকে যে ব্যক্তি দুনিয়াবী কোন স্বার্থ-সম্পদ হাসিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।” (আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১৭৯) ১৪। অকারণে তালাক কামনাকারীণী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে মহিলা তার স্বামীর কাছে অকারণে তালাক কামনা করে, সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।” ( তিরমিযী, হাদীস নং ১১০৮) ১৫। মাথার চুলে কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে নাঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “শেষ যুগে কিছু লোক কবুতরের সীনার ন্যায় কালো কলপ ব্যবহার করবে। তারা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।” (নাসায়ী, হাদীস নং ৪৯৮৮) ১৬। রিয়াকারী জান্নাতে যাবে না (যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য কিছু করে)ঃ হযরত আবু হুরাইরা (রা.) সূত্রে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম একজন শহীদকে ডাকা হবে। অতঃপর একজন ক্বারীকে। তারপর একজন দানশীল ব্যক্তিকে হাজির করা হবে। প্রত্যেককে তার কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। অতঃপর শহীদকে বীর-বাহাদুর উপাধি লাভের উদ্দেশ্যে জিহাদ করার অপরাধে, ক্বারী সাহেবকে বড় ক্বারীর উপাধি ও সুখ্যাতি লাভের জন্য কিরাআত শেখার অপরাধে এবং দানশীলকে বড় দাতা উপাধি লাভের নিয়তে দান-সদকা করার অপরাধে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (মুসলিম, হাদীস নং ৩৫২৭) ১৭। ওয়ারিসকে বঞ্চিতকারী জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবেঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি কোন ওয়ারিসকে তার অংশ থেকে বঞ্চিত করলো, আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতের অংশ থেকে বঞ্চিত করবেন।” ( ইবনে মাজাহ্, হাদীস নং ২৬৯৪) Social media 👇 ফেইসবুক পেইজ https://www.facebook.com/Abdulaziz.kushtia?mibextid=2JQ9oc

Category

Show more

Comments - 5